মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনি হুমকির মুখে নিউ ইয়র্ক টাইমস বুধবার এক দৃঢ় বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে অটল থাকবে এবং কোনো ভীতি প্রদর্শনের কৌশলে পিছু হটবে না।
এই প্রতিক্রিয়া আসে এমন সময়ে, যখন ট্রাম্প প্যারামাউন্ট গ্লোবালের সঙ্গে চলমান এক মামলার প্রতিবেদনের সূত্র ধরে টাইমস-এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন।
টাইমস এক বিবৃতিতে জানায়, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আজকের পোস্ট তার প্রশাসনের সমালোচনামূলক স্বাধীন সাংবাদিকতাকে দমন ও শাস্তি দেওয়ার একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। আইন স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে এবং একটি সচেতন আমেরিকান জনগণের স্বার্থে কথা বলে।”
এই বক্তব্য ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টের পর আসে, যেখানে তিনি টাইমস-এর সাংবাদিকদের ‘ট্রাম্প ডেরেঞ্জমেন্ট সিনড্রোম’-এ আক্রান্ত বলে দাবি করেন। ট্রাম্প আরও বলেন, টাইমসের এমন হস্তক্ষেপ ‘টরশাস ইন্টারফিয়ারেন্স’-এর পর্যায়ে পড়ে এবং এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনার দাবিদার, যা তার প্রশাসন গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করছে।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা টাইমস-এর প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত হয়, যেখানে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্যারামাউন্ট গ্লোবালের আইনজীবীরা চলমান একটি মামলার আপস মীমাংসা নিয়ে আলোচনা করছেন। মামলাটি সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের একটি সাক্ষাৎকারকে ঘিরে করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, মামলাটি আইনি ভিত্তি থেকে দুর্বল এবং এটি সিবিএসের জন্য সহজ বিজয় হতে পারে। তবে ট্রাম্প তার পোস্টে এই মূল্যায়ন প্রত্যাখ্যান করেন।
পরদিন টাইমস আবারও জানায়, “প্রশাসনের ভীতি প্রদর্শনের কৌশলে নিউ ইয়র্ক টাইমস ভয় পাবে না। আমরা নিরপেক্ষভাবে সত্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাব এবং সাংবাদিকদের প্রথম সংশোধনী অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।”
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে একাধিক জরিপে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কিছুটা কমে এসেছে এবং অর্থনীতি ও শুল্কনীতি নিয়ে জনমত নেতিবাচক হয়ে উঠেছে। এসব প্রেক্ষাপটে নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক অবস্থান আরও তীব্র হয়েছে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.