বয়সের ছাপ কে চায়? বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোনও চাননি চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়ুক। তাই নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তিনি বেছে নিয়েছেন ‘হাইফু’ পদ্ধতি। এর মাধ্যমে তিনি চিরসবুজ এবং প্রাণবন্ত উপস্থিতি বজায় রাখছেন। কিন্তু এই ‘হাইফু’ আসলে কী? এবং এটি কীভাবে কাজ করে?
ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, হাইফু (HIFU) শব্দের পূর্ণরূপ হলো High Intensity Focused Ultrasound। দীপিকা এই থেরাপি গ্রহণ করেছিলেন তাঁর আসন্ন সিনেমা 'সিংগম এগেইন'–এর শুটিং চলাকালে। এটি এক ধরনের বিশেষ নন-ইনভেসিভ থেরাপি, যা ছুরি-কাঁচি ছাড়াই ত্বকে কাজ করে এবং অনেক ক্ষেত্রেই সার্জারির চেয়ে বেশি কার্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা বলেন, তিনি সার্জারির মাধ্যমে সৌন্দর্য বৃদ্ধির পক্ষপাতী নন। তাঁর মতে, ছুরি-কাঁচির নিচে বসলে মুখের স্বাভাবিক কাঠামো নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তিনি মনে করেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই দীপিকা বেছে নিয়েছেন হাইফু, যা কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং কার্যকর একটি পদ্ধতি।
হাইফু হলো উন্নত প্রযুক্তির একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে ত্বকের গভীরে আল্ট্রাসাউন্ড তরঙ্গ প্রয়োগ করা হয়। এটি ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যার ফলে বলিরেখা মুছে গিয়ে ত্বক আরও টানটান ও মসৃণ হয়ে ওঠে। শুধু মুখ নয়, গলা, হাত, বুক এবং ঊরুতেও এই থেরাপি প্রয়োগ করা যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ঝুলে যাওয়া ও বলিরেখার যে সমস্যা দেখা দেয়, তা হাইফু পদ্ধতির মাধ্যমে অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. শরিফা চৌসের মতে, হাইফু থেরাপি বোটক্স বা ফিলারের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ। কারণ বোটক্স বা ফিলারের ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত পরিবর্তন কখনো কখনো স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। কিন্তু হাইফু পদ্ধতিতে সেই ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম এবং প্রয়োজনে ফলাফল সংশোধনও করা সম্ভব।
‘কুড়িতে বুড়ি আর চল্লিশে চালশে’—বাংলার এই পুরনো প্রবাদ দীপিকার ক্ষেত্রে যেন খাটে না। চল্লিশের কোঠায় পা দিয়েও দীপিকা আজও নিজের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত সচেতন। তাঁর এই সচেতনতা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.