বর্তমানে ডায়াবেটিস যেন এক নীরব মহামারি। ১৯৮০ সালে বিশ্বে যেখানে ১০ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন, আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটিরও বেশি। এটি মূলত একটি বিপাকীয় রোগ, যেখানে শরীর প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যর্থ হয় বা তৈরি ইনসুলিন কাজ করে না। এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গিয়ে দেখা দেয় ক্লান্তি, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।
পুরোপুরি ভালো না হলেও কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং এমনকি প্রতিরোধ করাও যায়।
১. মানসিক চাপ কমান
স্ট্রেস ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়। তাই ধ্যান, যোগব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম—এসব অভ্যাস গড়ে তুলুন।
২. ধূমপান ত্যাগ করুন
ধূমপান ডায়াবেটিসসহ নানা প্রাণঘাতী রোগের উৎস। আজই এই ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসুন।
৩. স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন
মেদ কমিয়ে আনলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায় প্রায় ৭০%।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে এবং বিপাক প্রক্রিয়া সচল থাকে।
১. প্রতিদিন সালাদ
গাজর, শসা, লেটুস, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন ও এক চা চামচ ভিনেগার দিয়ে তৈরি সালাদ রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার
ওটস, বার্লি, ব্রাউন রাইস, ভুট্টা, বাজরার মতো আঁশসমৃদ্ধ খাবার ব্লাড সুগার কমায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৩. দুই কাপ কফি (চিনি ছাড়া)
প্রতিদিন কফি পান করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২৯% কমে—শুধু খেয়াল রাখুন যেন চিনি না থাকে।
৪. দারুচিনি
প্রতিদিন সামান্য দারুচিনি (তেল বা গুঁড়া আকারে) খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ফাস্টফুড (ফ্রাই, পিজ্জা, বার্গার)
অতিরিক্ত মিষ্টি বা প্রক্রিয়াজাত খাবার
অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি পানীয়
শরীরের হাইড্রেশন ঠিক রাখলে বিপাকীয় প্রক্রিয়া ঠিকভাবে কাজ করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে।
ডায়াবেটিস কোনো মিথ বা অদৃশ্য শত্রু নয়—সচেতন থাকলে, নিয়ম মেনে জীবনযাপন করলে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা বা এড়ানো সম্ভব। আপনি যদি নিজেকে ও প্রিয়জনকে সুস্থ রাখতে চান, আজ থেকেই এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.