বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বলছে, আওয়ামী আমলের পুরোনো তেলের সিন্ডিকেট আবার সক্রিয় হয়েছে। তারা ধারাবাহিকভাবে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশের বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী:
২০২২ সালে: প্রতি টন সয়াবিন তেল $১৬৬৭
২০২৩ সালে: $১১১৯
২০২৪ সালে: $১০২২
২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ: $১০৪০
এরপরও দেশে দাম বেড়েই চলেছে। বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা/লিটার, আর খোলা তেল ১৮০ টাকা/লিটার।
ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন জানিয়েছেন, দেশে মাত্র কয়েকটি কোম্পানি পুরো তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এরা আগের সরকারের আমলে যেমন প্রভাবশালী ছিল, এখনো তেমনি আছে—শুধু লেবাস বদলেছে। সরকারের নিয়ম নীতিকে পাশ কাটিয়ে ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করছে তারা।
মার্চের আগ পর্যন্ত আমদানি সুবিধা নিয়েও কোম্পানিগুলো সরবরাহ কমিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে।
১৬ ডিসেম্বর: সরকার শুল্কছাড় দেয়, তাতেও স্থিতিশীলতা আসেনি।
১৪ এপ্রিল: আবারও লিটারে ১৪ টাকা বাড়ানো হয়।
তেল কোম্পানিগুলোর দাবি:
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা স্থিতিশীল হলেও ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ও ব্যাংক অস্থিরতার কারণে আমদানিতে সমস্যায় পড়ছে।
তারা লিটারে ২১ টাকা বাড়াতে চেয়েছে, সরকার বাড়িয়েছে ১৪ টাকা।
তাই তারা আরও ৭ টাকা বাড়ানোর চিন্তায় আছে।
খুচরা বাজারে তেলের দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি।
খোলা তেল: নির্ধারিত ১৬৯ টাকার জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
বোতলজাত তেল: ১৮৯ টাকার জায়গায় ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরকার ভ্যাট-শুল্ক কমিয়ে, নীতিগত সহায়তা দিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সিন্ডিকেটের চাপ ও বাজার নিয়ন্ত্রণের অভাবেই দাম বাড়ছে।তেলের বাজারে বাস্তব সমস্যা যেমন রয়েছে—বিশ্ববাজার ও মুদ্রার অস্থিরতা, তেমনি রয়েছে কৃত্রিম সংকট ও সিন্ডিকেটের কারসাজি। এর সমাধানে দরকার শক্ত হাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছ নীতিমালা ও সিন্ডিকেট ভাঙার বাস্তবিক পদক্ষেপ।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.