যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এই দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০-এ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মৃতদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
লস অ্যাঞ্জেলেস মেডিকেল এক্সামিনার কাউন্টি জানিয়েছে, দাবানলের পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে মৃতদের শনাক্ত করতে সময় লাগছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে এক বিবৃতিতে জানানো হয়,
“পরিচয় শনাক্তকরণে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। দাবানলের কারণে মেডিকেল পরীক্ষক বিভাগ যথাযথভাবে কার্যক্রম চালাতে পারছে না।”
মৃতদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানানো হয়েছে।
দাবানলটি লস অ্যাঞ্জেলেস ও ভেন্টুরা কাউন্টির সীমান্তবর্তী কেনেথ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন ইতিমধ্যে প্রায় ১৩ হাজার একর এলাকা গ্রাস করেছে। দাবানলের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় এক লাখ মানুষ। ক্যালিফোর্নিয়ার বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগ (ক্যাল ফায়ার) জানিয়েছে, প্রচণ্ড বাতাস এবং শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭৮৩ জন কারাবন্দিকে কাজে লাগানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৯৫ জন সরাসরি দমকল কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। তারা ক্যাল ফায়ারের প্রায় ২ হাজার পেশাদার দমকলকর্মীর সঙ্গে কাজ করছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল নেভানোর কাজে নিয়োজিত বাহিনীর প্রায় ৩০ শতাংশ কারাবন্দিদের নিয়ে গঠিত। তবে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাদের দমকল বাহিনীতে চাকরির সুযোগ দেওয়া হয় না, যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
দাবানলের কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের সব স্কুল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) এবং শনিবার (১১ জানুয়ারি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলাকার তত্ত্বাবধায়ক আলবার্টো এম. কারভালহো জানিয়েছেন,
"বাতাসের মান পর্যালোচনা করে স্কুল পুনরায় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
আবহাওয়া সংস্থা অ্যাকুওয়েদারের প্রধান আবহাওয়াবিদ জোনাথন পোর্টার এই দাবানলকে আধুনিক ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে আর্থিক ক্ষতিসাধনকারী দাবানল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তবে শুষ্ক আবহাওয়া, তীব্র বাতাস এবং নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সময় লাগছে। মৃতদের পরিচয় শনাক্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.