রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে কার্লো আনচেলত্তির ভবিষ্যৎ বেশ কিছুদিন ধরেই অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে। সেই অনিশ্চয়তা ঘোচানোর বড় সুযোগ হতে পারত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ—কিন্তু হয়নি। প্রত্যাবর্তনের কোনো মহাকাব্য রচনা করতে পারেনি লস ব্লাঙ্কোসরা। বিদায় নিতে হয়েছে হারের তেতো স্বাদ নিয়ে। এমন দিনে অনেকটা শেষের সুরই যেন গেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রদের ইতালিয়ান কোচ। ভাগ্যকে মেনে নিচ্ছেন আনচেলত্তি।
সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে রিয়ালকে করতে হতো প্রায় অসম্ভব কিছু। কিন্তু নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেও সেই চমক দেখাতে পারেনি দলটি। চাওয়া ছিল বড় ব্যবধানে জয়, কিন্তু সেটার বদলে উল্টো আর্সেনালের কাছে ২-১ গোলে হারতে হয়েছে রিয়ালকে। এরপরই যেন আনচেলত্তি বুঝে যান—এখানে তার সময় শেষের পথে।
গত মৌসুমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেও চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ এখন পর্যন্ত হেরেছে ১২টি ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মিশন শেষ, লা লিগাতেও দলটা ছন্দে নেই। ক্লাবের এমন দুর্দশার দায় নিজের কাঁধেই নিয়েছেন আনচেলত্তি। তিনি বলেন, ‘ক্লাব চাইলে কোচ বদলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেটা এই বছরেও হতে পারে, কিংবা তখন যখন আমার চুক্তি শেষ হবে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। যখনই বিদায় নেব, রিয়াল মাদ্রিদকে শুধু ধন্যবাদই জানাবো।’
ইতালিয়ান কোচ বুঝে গেছেন—বিদায় অবধারিত। সে জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতও তিনি, ‘বিদায় হতে পারে আগামীকালই, কিংবা দশ দিন বা এক বছরের মধ্যে। চুক্তি থাকল কি না, সেটা আমার কাছে বড় নয়।’
তবে হতাশার মাঝেও শিষ্যদের প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন এই অভিজ্ঞ কোচ। জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন আছেন লড়াই চালিয়ে যাবেন, ‘আমরা এখনো লা লিগার জন্য লড়ছি, সামনে কোপা দেল রে'র ফাইনাল আছে, ক্লাব বিশ্বকাপও বাকি। দলের মনোভাব নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই, খেলোয়াড়রা সর্বস্ব দিয়ে খেলছে। তবুও আমরা সফল হচ্ছি না। সত্যি বলতে, আর্সেনাল দুর্দান্ত ডিফেন্স করেছে। জায়গা খুঁজে পেতেও আমাদের কষ্ট হচ্ছিল। ইনটেনসিটির দিক থেকে আমরা ভালো ছিলাম, কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না।’
এদিকে আনচেলত্তি রিয়াল ছাড়লে পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে ব্রাজিল জাতীয় দল। যদিও এ বিষয়ে এখনও কিছুই নিশ্চিত নয়—ঠিক যেমনটা অনিশ্চিত রিয়াল মাদ্রিদে তার ভবিষ্যৎও।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.