ইসরাইলের বর্বর হামলায় আহত ফিলিস্তিনের এক হাজার নাগরিককে বাংলাদেশে এনে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এই মহত্ মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আল মারকাজুল ইসলামী। আহতদের বাংলাদেশে এনে চিকিৎসাসেবা ও পুনর্বাসনের পরিকল্পনা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সংস্থার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, এ বিষয়ে শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সঙ্গেও আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করা হবে।
নাজমুল হাসান আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার অনুমতি মিললেই আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আহত ফিলিস্তিনিদের বাংলাদেশে আনার কার্যক্রম শুরু হবে। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে—গর্ভবতী নারী, শিশু, বয়স্ক এবং যারা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন এমন রোগীদের। চলাফেরায় অক্ষম ব্যক্তিদের সঙ্গে একজন সহায়ক আনতে সুযোগ রাখা হবে।
এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে আল মারকাজুল ইসলামী একটি সমন্বয় বৈঠক করেছে শমরিতা হাসপাতালের পরিচালক ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. এবিএম হারুনের সঙ্গে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে ৫০০ জনকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে এবং বাকিদের অন্যান্য অংশীদার হাসপাতাল ও আল মারকাজুল হাসপাতাল, বাবর রোড-এ চিকিৎসা দেওয়া হবে। পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিকস ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল)-এর সঙ্গেও সমন্বয় হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি একটি ইউনিট এসব ফিলিস্তিনি রোগীদের জন্য বরাদ্দ রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত ব্যয়ভার আল মারকাজুল ইসলামী নিজে বহন করবে। তারা চায়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল যারা চিকিৎসা সেবা দেবে, যদি ন্যূনতম কিছু খরচ চায়, তাও তারা গ্রহণযোগ্যতার মধ্যে রেখে পরিশোধ করবে। পুরো কার্যক্রম আল্লাহর রহমত এবং সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নাজমুল হাসান।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে শুধু চিকিৎসা নয়, আহতদের প্রশিক্ষণ, পুনর্বাসন এবং সুস্থ হওয়ার পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হবে। এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.