ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই বড় একটি ভুল করেন—খাবার খাওয়া কমিয়ে দেন। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ওজন কমে না। তবে কিছু খাবার আছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, এমনকি এসব খাবার যদি শুকনো না খেয়ে ভিজিয়ে খাওয়া হয়, তাহলে উপকারিতা আরও বেড়ে যায়। চলুন জেনে নিই এমন তিনটি খাবার সম্পর্কে।
বাদামের খোসায় থাকে ‘ট্যানিন’ নামক একধরনের উপাদান, যা বাদামের সব পুষ্টিগুণ শরীরে শোষিত হতে বাধা দেয়। তবে বাদাম ভিজিয়ে রেখে খোসা ছড়িয়ে খেলে এই ট্যানিন দূর হয় এবং শরীর সহজে এর পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। এতে হজমের উন্নতি হয় এবং মস্তিষ্কও থাকে সক্রিয় ও সতেজ। প্রতিদিন সকালে কয়েকটি ভিজানো বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে মিলবে দীর্ঘমেয়াদী উপকার।
চিয়া বীজ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, তবে এটি সঠিকভাবে খাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চিয়া বীজ তাদের ওজনের ১০ গুণ পানি শোষণ করতে পারে। যদি ভিজিয়ে না খেয়ে শুকনো অবস্থায় খাওয়া হয়, তবে তা শ্বাসনালিতে আটকে গিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। চিয়া বীজ খাওয়ার আগে অন্তত ২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখা উচিত, যেন তা ফুলে উঠে এবং সহজে হজম হয়। এটি হাইড্রেশন, হজম ও ওজন নিয়ন্ত্রণে দারুণভাবে সহায়তা করে।
কিশমিশ ভিজিয়ে খেলে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এটি হজম করাও সহজ হয়। ভেজানো কিশমিশ শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। নিয়মিত সকালে ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে রাখে সতেজ ও ফুরফুরে।
এই তিনটি ভেজানো খাবার সহজেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা যায় এবং এর উপকারিতা দীর্ঘস্থায়ী ও প্রাকৃতিক। চাইলে আমি এগুলোর ওপর ভিত্তি করে একটি স্বাস্থ্য টিপস পোস্ট বা ইনফোগ্রাফিক ডিজাইনেও সাহায্য করতে পারি!
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.