ইলেকট্রনিক মেইল এর সংক্ষিপ্ত নাম ই-মেইল। এ নামই বেশি পরিচিত। ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রথম ধাপই হচ্ছে নিজের একটা ই-মেইল আইডি তৈরি করা। প্রায় প্রতিটি ওয়েবসেবার অ্যাকাউন্ট তৈরিতে একটি ই-মেইল আইডির দরকার হয়।
১৯৭১ সালে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রথম ইলেকট্রনিক চিঠি আদান-প্রদান করেন রে টিমলিনসন।
তখন থেকে প্রাপকের নামের পর ‘@’ চিহ্নজুড়ে সিস্টেমের ঠিকানা যুক্ত করে ই-মেইল অ্যাড্রেস তৈরির প্রচলন শুরু হয়। ১৯৭০-এর দশকের পুরোটাই ই-মেইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আধুনিক ই-মেইল সেবায় ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রটোকলের পূর্বসূরি ‘সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রটোকল’ (এসএমটিপি) প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৯৮৩ সালে।
পরবর্তী সময়ে ‘পোস্ট অফিস প্রটোকল ৩’ (পিওপি৩) এবং ‘ইন্টারনেট মেসেজ অ্যাকসেস প্রটোকল’ (আইএমএপি) তৈরি হয় ১৯৯০-এর দশকের শেষভাগে। এখনো এ দুটি প্রটোকল ব্যবহার করেই ই-মেইল সেবা কাজ করে। গুগলের মেইলসেবা জিমেইলই এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। ই-মেইলের পাশাপাশি একই অ্যাকাউন্টে গুগলের অন্যান্য সেবাও ব্যবহার করা যায়।
এর আগে ইয়াহু মেইল ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয়। পাশাপাশি হটমেইলও ব্যবহার করত অনেকে। হটমেইল এখন আউটলুক মেইল নামে পরিচিত। অনেক শিক্ষা ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরও আছে নিজস্ব ই-মেইল সেবা। ব্রাউজারের মাধ্যমে ই-মেইল সেবার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে মেইল আদান-প্রদান করা যায়।
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফোন ও ট্যাবে ই-মেইলের অ্যাপ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কম্পিউটারে ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য গুগল ক্রোম, মজিলা থান্ডারবার্ড বা মাইক্রোসফট আউটলুক অ্যাপ এখনো বেশ জনপ্রিয়। প্রতারণামূলক বা অযাচিত বিজ্ঞাপনমূলক মেইলকে বলা হয় স্প্যাম।
এ জন্য প্রতিটি ই-মেইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে স্প্যামগার্ড ব্যবহার করে। এর পরও কিছু স্প্যাম ঠিকই ইনবক্সে পৌঁছে যায়। এ ধরনের মেইলে থাকা লিংকে ক্লিক করা অনুচিত। এতে তথ্য বেহাত হওয়াসহ নানা ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে ব্যবহারকারী।
ই-মেইল আইডিতে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করে হ্যাকাররা। তাই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন সিস্টেম চালু করা জরুরি। পাশাপাশি সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.