যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো চিঠির আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছে ইরান। জবাবে নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ওমানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের চিঠির প্রতিক্রিয়া পাঠায় ইরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি-র বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।
আরাকচি বলেন,
"ওমানের মাধ্যমে আমেরিকার চিঠির প্রতিক্রিয়া পাঠানো হয়েছে। এতে ইরানি কর্মকর্তারা তাদের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করেছেন—চাপের মুখে সরাসরি আলোচনায় বসবে না ইরান। তবে পরোক্ষ আলোচনার জন্য আমরা রাজি আছি।"
জানুয়ারির শুরুতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে আরাকচি বলেছেন,
"সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মধ্যে থাকা অবস্থায় ইরান সরাসরি আলোচনায় যুক্ত হবে না। তবে অতীতের মতো পরোক্ষ আলোচনা চলতে পারে।"
তিনি আরও জানান,
"আমাদের জবাবের মধ্যে একটি চিঠি রয়েছে, যেখানে বর্তমান পরিস্থিতি এবং ট্রাম্পের চিঠির বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।"
২০১৮ সালে তাঁর প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প একতরফাভাবে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসেন এবং দেশটির ওপর বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ২০১৫ সালের চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইরান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে রাজি হয়েছিল।
গত ৭ মার্চ ট্রাম্প জানান, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে তিনি চিঠি লিখেছেন, যেখানে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প হুমকিও দেন যে, তেহরান আলোচনায় রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
এই চিঠিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে দুই মাসের মধ্যে আলোচনা শুরুর জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করেন ট্রাম্প।
তবে ইরানের প্রতিক্রিয়া বা আয়াতুল্লাহ খামেনির কাছে পাঠানো চিঠির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে, ১২ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিনিয়র কূটনীতিক আনোয়ার গারগাশ তেহরান সফর করেন এবং ট্রাম্পের চিঠি ইরানি কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.