রাশিয়ায় বসবাসরত ইউক্রেনীয়দের নাগরিকত্বের বৈধতা প্রমাণ করতে হবে বা রাশিয়া ছেড়ে যেতে হবে—এমন শর্ত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনীয়দের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রেসিডেন্টের এক ডিক্রিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো টাইমস।
এই আদেশটি মূলত আংশিকভাবে দখলকৃত চারটি অঞ্চল— দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— থেকে আগত ইউক্রেনীয়দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ২০২২ সালে রাশিয়া এই অঞ্চলগুলোকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা করে।
এছাড়াও, ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়ার বাসিন্দারাও এই নির্দেশনার আওতায় পড়বেন।
রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ ইউক্রেনীয়দের রুশ নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য চাপ দিয়ে আসছে। পুতিন দাবি করেছেন, ২০২৪ সালের মধ্যেই অধিকাংশ দখলকৃত এলাকার বাসিন্দাকে রুশ পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেন এই ‘পাসপোর্টাইজেশন’ প্রক্রিয়াকে অবৈধ ও দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে নিন্দা করেছে।
পাশাপাশি, পশ্চিমা দেশগুলোও এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ঘোষণা দিয়েছে, রাশিয়ার দেওয়া এই পাসপোর্টগুলো বৈধ ভ্রমণ নথি হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না।
এদিকে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে।
মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন,
"পুতিন ও ট্রাম্পের সাম্প্রতিক আলোচনার ভিত্তিতেই যুদ্ধবিরতির আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে।"
তিনি আরও জানান,
"আমি পুতিনের সঙ্গে প্রায় সাত ঘণ্টার আলোচনায় বসেছিলাম, যেখানে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।"
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই আলোচনা ভবিষ্যতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিরসনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
📌 সূত্র: এনডিটিভি, মস্কো টাইমস
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.