গাজায় ইসরাইলের হামলার আগে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস দেশটিতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা ‘মিথ্যা’ বলে জানিয়েছে হামাস। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ইসরাইল এই আগ্রাসী ও রক্তাক্ত হামলাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য এ নাটক সাজিয়েছে। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল-কানুয়া এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলেছেন, অবৈধ দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে ফের গণহত্যা শুরু করেছে।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ইসরাইল বিমান হামলা শুরু করেছে। গাজার মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, এতে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০৪ জনে। এছাড়া আরও ৫৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর এটি গাজায় ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা। হামাস দাবি করছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিলের জন্য ইসরাইল অবরুদ্ধ এবং অরক্ষিত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ‘প্রতারণামূলক’ হামলা চালিয়েছে।
টানা ১৫ মাস হামাস-ইসরাইল সংঘাত চলার পর গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শুরু হয়। এর মেয়াদ ছিল ৪২ দিন। প্রথম ধাপ শুরুর ১৬ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে ইসরাইল তা করেনি এবং প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর দিকে জোর দেয়। হামাস এ অবস্থানে না গিয়ে চুক্তি বাতিল করে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে টানা ১৫ মাসের যুদ্ধে গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলায় অন্তত ৪৮,৫৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,১২,০৪১ জন আহত হয়েছেন। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় নিহতের সংখ্যা ৬১,৭০০ জনেরও বেশি জানিয়ে বলেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ হয়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.