রিয়াল মাদ্রিদ শুরুতে পিছিয়েই পড়েছিল। তাতে হারের শঙ্কা কিছুটা হলেও জেগেছিল। তবে কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে সে সব শঙ্কা উবে যায়। ভিয়ারিয়ালের মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফেরে মাদ্রিদ।
এই জয়ে লস ব্লাঙ্কোসরা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার চেয়ে তিন পয়েন্ট এগিয়ে গেলো। তবে কার্লো আনচেলত্তির দল দুটি বেশি ম্যাচ খেলেছে। রবিবার আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামবে বার্সা, যেখানে শিরোপা দৌড়ের পরিস্থিতিটা আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
মাদ্রিদ অবশ্য এই ম্যাচের সময়সূচি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল, কারণ মাত্র ৭২ ঘণ্টা আগেই তারা চ্যাম্পিয়নস লিগে আতলেতিকোর বিপক্ষে টাইব্রেকারে জয় পেয়েছিল। তবে ক্লান্তি সত্ত্বেও কার্লো আনচেলত্তির দল নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়। বিশেষ করে এমবাপ্পের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দারুণ জয় তুলে নেয়।
আগের ম্যাচের ধকলের কথা মাথায় রেখে কোচ আনচেলত্তি এই ম্যাচে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে বেঞ্চে রেখেছিলেন। ওদিকে স্বাগতিক ভিয়ারিয়াল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। আয়োজে পেরেজের একটি শট ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া, তবে পরবর্তী কর্নার থেকেই গোল হজম করতে হয় মাদ্রিদকে। বল রিবাউন্ড হয়ে পৌঁছায় হুয়ান ফয়েথের কাছে, যিনি কাছ থেকে সহজেই জালে জড়ান বলটা।
তবে মাদ্রিদ দ্রুতই ম্যাচে ফিরে আসে। ১৭ মিনিটে এমবাপ্পে সমতা ফেরান, ব্রাহিম দিয়াজের একটি লব শট গোলরক্ষক ঠেকালেও ফিরতি বলে ফরাসি ফরোয়ার্ড সহজেই গোল করেন। এর কিছুক্ষণ পরই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। লুকাস ভাসকেজের ক্রস থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। এটি তার লা লিগায় ২০তম গোল, যা তাকে শীর্ষ গোলদাতা রবার্ট লেভান্ডভস্কির (২১ গোল) আরও কাছে নিয়ে গেছে তাকে।
এই জয়ের ফলে রিয়াল মাদ্রিদ এখন লা লিগার শীর্ষে, তবে বার্সেলোনার হাতে এখনও সুযোগ আছে ব্যবধান কমানোর। নিজেদের হাতে থাকা দুই ম্যাচ জিতলে তারাই চলে আসবে শীর্ষে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.