খেজুরকে বলা হয় সুপার ফুড। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১% পূরণ করতে পারে খেজুর। এতে রয়েছে ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক।
খেজুর খেয়েই রোজা ভাঙার প্রচলিত নিয়ম আছে। তবে কোন খেজুরে কী গুণ, কোন খেজুর স্বাস্থ্যকর, আর কোনটি ওজন কমাতে সাহায্য করে, তা জানা জরুরি।
✅ শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
খেজুরে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
✅ ফাইবারের ভালো উৎস:
ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজমে সহায়ক এবং ডায়েটে রাখার জন্য উপযুক্ত।
✅ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:
প্রতিটি খেজুরে ২০-২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
✅ রক্তস্বল্পতা দূর করে:
খেজুর আয়রনের ভালো উৎস, যা রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) দূর করতে সহায়তা করে।
✅ প্রাকৃতিক চিনি হিসেবে ব্যবহারযোগ্য:
যারা চিনি এড়িয়ে চলতে চান, তারা খেজুর খেতে পারেন। চিনির বিকল্প হিসেবে খেজুরের রস ও গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
✅ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
✅ হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে:
খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে।
✅ চোখের জন্য উপকারী:
খেজুরে থাকা লিউটেন ও জিক্সানথিন রেটিনার স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে।
খেজুর শুধু সুস্বাদু নয়, এটি শক্তিবর্ধক ও স্বাস্থ্যকর একটি ফল। প্রতিদিন কয়েকটি খেজুর খেলে শরীরের পুষ্টি চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে ডায়াবেটিস বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.