চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ার সীমান্ত সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ২,৬৫৪ জন বিদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও কাগজপত্র পরীক্ষা করে। এর মধ্যে প্রকৃত পর্যটক নন এমন ৯০০ জনকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ার কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনেককে ভিজিট ভিসায় পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ফেরত পাঠানো ৯০০ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন বাংলাদেশি। মূলত ভ্রমণ ভিসায় চাকরির উদ্দেশ্যে যাওয়ার কারণে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শ্রম অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবৈধ প্রক্রিয়ায় দুই দেশের অসাধু সিন্ডিকেট জড়িত। এমনকি বিমানবন্দরের কিছু কর্মীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণও বিভিন্ন সময় পাওয়া গেছে।
✅ ১৯ ফেব্রুয়ারি – কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৫ বাংলাদেশিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় আটক করে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ। তারা ইমিগ্রেশন কাউন্টারের দিকে না গিয়ে বিশেষ কারও জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
✅ ২৪ জানুয়ারি – ১২ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ান ফিশারিজ অ্যাকাডেমির ভুয়া প্রশিক্ষণার্থী পরিচয়ে দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের আটক করে। পরে যাচাই করে দেখা যায়, তাদের আমন্ত্রণপত্রটি জাল।
✅ ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ – কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করায় একদল বাংলাদেশিসহ বিদেশিদের আটক করে ফেরত পাঠানো হয়।
✅ ১৮ সেপ্টেম্বর – বিমানবন্দরের ‘কাউন্টার সেটিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে ইমিগ্রেশন বিভাগের ৫০ জন কর্মী ও সিন্ডিকেটের ১০ এজেন্ট গ্রেফতার হয়।
এই প্রবণতা বন্ধ করতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় দেশকেই আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.