দেশের বিভিন্ন জেলায় গত জানুয়ারি মাস থেকে শিশুদের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখনও এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি, যা শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় জন্মের পর থেকে ২৩ মাস বয়সী শিশুদের ১০টি রোগের প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হয়। তবে পিসিভি, আইপিভি, পেন্টা ভ্যালেন্ট এবং এমআর টিকার সংকট চলমান রয়েছে।
সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন শিশুদের মা ও অভিভাবকরা। তারা জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিশুদের টিকা দিতে না পারায় তারা উদ্বিগ্ন। গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, টিকার অভাবে শিশুদের অভিভাবকরা ফিরে যাচ্ছেন। দাউদকান্দি পৌর এলাকার তাছলিমা আক্তার বলেন, গত এক মাসে চারবার টিকা না পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।
কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মো. সারোয়ার আকবর জানান, জেলায় এমআর ও টিডি ভ্যাকসিনের কিছু মজুত থাকলেও তা অপ্রতুল। অন্যান্য টিকা একেবারেই নেই। কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লাসহ মোট ৩০টি জেলায় টিকা সংকটের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আরও কিছু জেলায় টিকার স্বল্পতা রয়েছে।
সংকটপূর্ণ জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, মেহেরপুর, পিরোজপুর, গাজীপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, খুলনা, ভোলা, বরগুনা, নেত্রকোনা, বাগেরহাট, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম, পটুয়াখালী, নড়াইল, টাঙ্গাইল, ঝালকাঠি, নরসিংদী, রাজবাড়ী, যশোর, ঝিনাইদহ ও বরিশাল।
টিকা সংকটের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজারের বক্তব্য হলো, টিকার সংকট হওয়ার কথা নয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ‘সংকট আগে ছিল, এখন টিকা পৌঁছাতে কিছু দেরি হচ্ছে। অপারেশন প্ল্যান (ওপি) না থাকায় আমরা রাজস্ব খাত থেকে ৪৬২ কোটি টাকার টিকা কিনেছি।’
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.