স্পেসএক্সের তৈরি স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণের পর দ্বিতীয়বারের মতো বিস্ফোরিত হয়েছে। আকাশে ওঠার কিছুক্ষণ পরই এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধ্বংসাবশেষ ভূমিতে আছড়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে উৎক্ষেপণের পরপরই রকেটটি বিস্ফোরিত হয়। স্পেসএক্স জানায়, ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায় এবং রকেটটির ধ্বংসাবশেষ পড়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়।
স্পেসএক্সের ভাষ্য অনুযায়ী:
🚀 রকেটটি মহাকাশে পৌঁছানোর পর ‘দ্রুত অনির্ধারিতভাবে বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়ে।
🚀 এরপরই রকেটের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
এটি ছিল স্পেসএক্সের সবচেয়ে বড় রকেট (১২৩ মিটার বা ৪০৩ ফুট উঁচু)। উৎক্ষেপণের পর এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং কক্ষপথে পুনঃপ্রবেশের আগে বিস্ফোরিত হয়।
📌 ক্যারিবিয়ান সাগরের বিভিন্ন দ্বীপ থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, রকেটের ধ্বংসাবশেষ জ্বলন্ত শিখার মতো আকাশ থেকে নিচে পড়ছে।
📌 বাহামায় কিছু মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সতর্ক হয়েছেন।
স্পেসএক্সের প্রতিক্রিয়া
🔍 রকেট বিস্ফোরণের কারণ বিশ্লেষণ করতে তথ্য পর্যালোচনা করবে স্পেসএক্স।
🔍 সংস্থাটি জানিয়েছে, রকেটটির বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছিল, যা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।
🔍 তবে, ইলন মাস্ক এই বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।
বিমান চলাচলে বিঘ্ন
✈️ মায়ামি ও অরল্যান্ডোর বিমানবন্দরসহ ফ্লোরিডার বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
✈️ ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) জানিয়েছে, বিস্ফোরণের কারণে প্লেনের ওঠানামায় দেরি হয়েছে।
এর আগেও ঘটেছে একই ঘটনা
📅 এর আগে, জানুয়ারিতেও স্টারশিপ উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরই বিস্ফোরিত হয়েছিল।
📌 টার্কস অ্যান্ড কাইকোস প্রশাসন জানিয়েছে, তারা মার্কিন কর্তৃপক্ষ ও স্পেসএক্সের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
🛰️ স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট মহাকাশ গবেষণার ভবিষ্যৎ হিসেবে বিবেচিত হলেও বারবার ব্যর্থতার কারণে নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।