প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২০, ২০২৫, ১২:৪০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৭, ২০২৫, ৭:৪০ পি.এম
রমজানে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে করণীয়

রমজানে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের কারণে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া এবং ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার ফলে এ সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই রোজার সময় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলুন—
১. খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত ফাইবার বা আঁশ রাখুন
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ ডিজিজেস অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ২২-৩৪ গ্রাম ফাইবার প্রয়োজন।
📌 যেসব খাবারে প্রচুর ফাইবার রয়েছে:
- ইফতারে বেশি পরিমাণ ফল রাখুন, যেমন: পেঁপে, কলা, আপেল, নাশপাতি, তরমুজ।
- সাহরিতে শাকসবজি, সহজপাচ্য ও আঁশসমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন: ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, লাল আটা, মুসুর ডাল।
- ইসবগুলের ভুসি, ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া বীজ যুক্ত খাবার খেতে পারেন।
২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত অন্তত ২.৫ লিটার পানি পান করুন।
⚠ পানির বিষয়ে সতর্কতা:
- খাওয়ার মাঝখানে বা একবারে বেশি পানি খাবেন না।
- শরীরে পানির মাত্রা ঠিক রাখতে উচ্চ পানিযুক্ত খাবার খান, যেমন:
- ঘরে তৈরি স্যুপ
- শসা, লেটুস, টমেটো
- তরমুজ ও অন্যান্য রসালো ফল
৩. ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
📌 ক্লিনিক্যাল ডায়াটিশিয়ান ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দার পরামর্শ অনুযায়ী,
- প্রতিদিনের ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার না খেয়ে সপ্তাহে ১-২ দিন খাওয়া যেতে পারে।
- তবে সম্ভব হলে এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
৪. ধীরে ধীরে খাওয়া ও পরিমিত পরিমাণে খাদ্যগ্রহণ
⚠ ইফতারে শুরুতেই বেশি খাওয়া উচিত নয়।
- প্রথমে খেজুর ও সামান্য চিনিযুক্ত শরবত বা জুস খেয়ে কিছুক্ষণ বিরতি দিন।
- দ্রুত এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া পেটে ব্যথা, গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।
- সাহরিতে একবারে বেশি না খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ও ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খান।
৫. হালকা ব্যায়াম ও হাঁটার অভ্যাস করুন
- রোজায় ব্যায়াম করা যাবে না—এ ধারণা ভুল।
- ইফতারের পর ৩০ মিনিট হাঁটুন। এটি হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.