প্রথম ম্যাচে হারলেও মেয়েদের লড়াই করার মানসিকতার প্রশংসা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। জানিয়েছেন, সেই ম্যাচে করা ভুল শুধরে নিয়ে পরের ম্যাচেই দারুণ কিছু করে দেখাবে তার দল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই কথা রাখতে পারেননি তিনি। সিরিজ বাঁচানোর শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশ দেখেছে প্রথম ম্যাচের সেই ফল। ৩-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। অবশ্য এরপরও খুশি ব্রিটিশ কোচ।
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সংযুক্ত আরব আমিরাত ফুটবল গ্রাউন্ডে প্রথমার্ধেই ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে যায় বাংলাদেশ। হজম করে বসে ২ গোল। আগের ম্যাচেও ২ গোল হজম করেছিল মেয়েরা। তবে সেই ম্যাচে পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ দিয়েছিলেন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। এ ম্যাচে অবশ্য সেই সুযোগ মেলেনি প্রথমার্ধে।
প্রথমার্ধে গোল করার সুযোগ না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমিয়েছেন আফঈদা। তবে ততক্ষণে বাংলাদেশের ভাগ্যে হার লেখা হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ৩ গোল হজম করে ফেলেছে। ফলে আফঈদার গোলটি কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে।
অবশ্য দলের এই ফলেও খুশি কোচ বাটলার। কেননা, অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া ১৬ নারী ফুটবলার আরব আমিরাত সফরে যাননি। যে কারণে বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে নতুন এক দল নিয়ে। যে কারণে খুশি বাটলার। বলেন, ‘আমার মেয়েদের খেলায় সন্তুষ্ট। আমি শুধু জয়, জয় চাই এমন মানসিকতার মানুষ নই, আমি উন্নয়ন মানসিকতার একজন। বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য এই এক সপ্তাহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ হওয়ায় অনেক ফুটবলারকে পরখ করেছেন বাটলার। যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আজকে অনেককে নামিয়েছি। তারা ভালোই করেছে। প্রতিপক্ষ দলে দীর্ঘদেহী ১০ জন রয়েছে, সুযোগ-সুবিধায় তারা অনেক উন্নত। এসব বিষয়ে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব না। আমরা পারব মানসিকতায়, চরিত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। সেটা এই মেয়েরা দেখিয়েছে, এজন্য আমি খুব গর্বিত। এরাই বাংলাদেশ ও এশিয়ার ফুটবলে ভবিষ্যৎ।’
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.