সাধারণত পাখিরা মানুষকে দেখে ভয় পায়। তবে এমন কিছু পাখি রয়েছে, যাদের দেখে উল্টো মানুষই ভয় পায়। এমনই এক বিপজ্জনক পাখি হলো ক্যাসোওয়ারি। ‘বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক পাখি’ হিসেবে পরিচিত এই বিশালাকৃতির পাখিটি মূলত অস্ট্রেলিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনির গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্টে বাস করে।
ক্যাসোওয়ারির চেহারা যেমন নজরকাড়া, তেমনই ভয়ঙ্কর। এর উজ্জ্বল নীল মুখ, মাথায় শিরস্ত্রাণের মতো শক্ত অংশ এবং ক্ষুরের মতো ধারালো নখর একে ভয়াবহ রূপ দিয়েছে। এই পাখির ওজন ৩১০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে এবং উচ্চতা প্রায় মানুষের সমান।
পাপুয়া নিউ গিনির বন্য অঞ্চলে পাঁচ বছর ধরে ক্যাসোওয়ারিদের নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু ম্যাক সিএনএনকে বলেন,
“এদের মধ্যে কিছু আদিম বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দেখতে অনেকটা জীবন্ত ডাইনোসরের মতো মনে হয়।”
ক্যাসোওয়ারি সাধারণত ভীতু প্রকৃতির এবং সহজে দেখা মেলে না। তারা খুব বেশি হিংস্র নয় ও সাধারণত মানুষকে আক্রমণ করে না। তবে বিরক্ত হলে বা ভয় পেলে ভয়ংকর হয়ে ওঠে।
যদিও এই পাখিগুলো উড়তে পারে না, তবে শক্তিশালী পা থাকায় খুব দ্রুত দৌড়াতে পারে। রেইনফরেস্টে এদের ঘণ্টায় ৩১ মাইল বেগে দৌড়াতে দেখা গেছে। এরা পানিতেও দ্রুত নড়াচড়া করতে পারে এবং ভালো সাঁতার কাটতে পারে।
ক্যাসোওয়ারিরা এক লাফে সাত ফুট উঁচুতে উঠতে পারে এবং তাদের পা দিয়ে ভয়ঙ্কর লাথি দিতে সক্ষম। সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হলো— এরা তাদের ধারালো নখর দিয়ে শত্রুকে চিরে বা ফুটো করে ফেলতে পারে, যা মারাত্মক আঘাত বা মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
যদিও ক্যাসোওয়ারি দেখতে ভয়ঙ্কর, তবে মানুষের আক্রমণে এই পাখির মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। কমিউনিটি ফর কোস্টাল অ্যান্ড ক্যাসোওয়ারি কনজারভেশনের প্রতিষ্ঠাতা পিটার রাউলস জানিয়েছেন,
“ক্যাসোওয়ারির কারণে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম, বরং মানুষের কারণেই বেশি ক্যাসোওয়ারি প্রাণ হারায়।”
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.