বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তামিম ইকবালের বরিশাল। বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শিরোপা জিতেছে দলটি।
শিরোপানির্ধারণী ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে চিটাগাং। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক তামিম ঝড়ো ইনিংসে দারুন শুরু করেন। এরপর শরিফুল দুই দফায় ব্রেকথ্রু দিলেও চূড়ান্ত সাফল্য পাননি। নাটকীয় লড়াই শেষে বরিশালের লঞ্চ গন্তব্যে নোঙর ফেলে ১৯.৩ ওভারে।
ফাইনাল ম্যাচের রঙ পাল্টেছে বারবার। যার শেষটায় নায়ক বনে গেছেন রিশাদ হোসেন। তার দুই ছক্কায় শেষ দুই ওভারে স্নায়ুর কঠিন পরীক্ষায় উৎরে যেতে সক্ষম হয়েছে বরিশাল। ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে চ্যাম্পিয়ন তকমা পেলেন রিশাদও। এর আগে তামিমের ২৯ বলে ৫৪, কাইল মায়ার্সের ২৮ বলে ৪৬ রানই মূলত বরিশালকে সঠিক লক্ষপথে রাখে। এ ছাড়া ২৮ বলে ৩২ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়।
এর আগে চিটাগাং কিংসের দেওয়া ১৯৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা যেমন দরকার ছিল তেমনই পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। অধিনায়ক তামিম ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাত্র ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছেন বরিশাল অধিনায়ক। তার ঝড় দেখে মনে হচ্ছিল বুঝি একপেশে একটি ফাইনাল জিততে চলেছে বরিশাল। তবে ইনিংসের নবম ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন শরিফুল ইসলাম। এরপর নাঈম ইসলামের বলে হৃদয় ও মুশফিকুর রহিমের বিদায়ে শঙ্কায় পড়ে যায় বরিশাল।
তবে নাটকীয়তা তখনও শেষ হয়নি, একদিকে চিটাগাংয়ের ফিল্ডাররা এলেমেলো ফিল্ডিং করছেন, অন্যদিকে ঝড় তুলছিলেন কাইল মায়ার্স। শরিফুলের বলে আউট হওয়ার আগে এই ক্যারিবীয় তারকা ২৮ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪৬ রান করেছেন। যদিও একই ওভারে মায়ার্স ও মাহমুদউল্লাহকে (৭) ফিরিয়ে চিটাগাংকে আশা দেখান শরিফুল। তবে একের পর এক ফিল্ডিং মিসের খেসারত তো দিতেই হবে। ফলে দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে চিটাগাংয়ের।
রানার্স-আপ বন্দরনগরীর দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। এ ছাড়া নাঈম ২ টি এবং বিনুরা ফার্নান্দো একটি উইকেট শিকার করেছেন।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.