ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রভাব শুধু চীন নয়, ভারতের ওপরও পড়তে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতি এবং বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের উদ্যোগ ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি ভারত আমদানি শুল্ক হ্রাসের বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। হেভিওয়েট মোটরসাইকেলের আমদানি শুল্ক ৫০% থেকে কমিয়ে ৩০% এবং ছোট মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ৪০% করা হয়েছে। মূলত হার্লে ডেভিডসনের মতো মার্কিন ব্র্যান্ডের প্রবেশ আরও মসৃণ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও:
২০২৩ সালে ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের পরিমাণ ১৯০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে ট্রাম্প ভারতকে শুল্ক নীতিতে আরও ছাড় দেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ইতোমধ্যেই বেশ কিছু খাতে শুল্ক কমিয়েছে, যা মার্কিন রপ্তানিকারকদের জন্য লাভজনক হবে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অতীতে ভারতকে "শুল্কের রাজা" বলে কটাক্ষ করেছিলেন এবং ভবিষ্যতেও ভারতকে আরও ছাড় দিতে বাধ্য করতে পারেন।
বিশ্ব বাণিজ্যে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী হলেও ট্রাম্প প্রশাসন ভারতকে আরও বেশি মার্কিন পণ্য আমদানির জন্য চাপ দিতে পারে, বিশেষ করে:
বিশ্বজিৎ ধর মনে করেন, কৃষি খাতে মার্কিন প্রবেশাধিকারের বিষয়টি ভারত মানতে চাইবে না, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে।
ভারত-মার্কিন সম্পর্ক শক্তিশালী হলেও বাণিজ্য নীতির পার্থক্যের কারণে নতুন চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনা রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ভারতের জন্য শুল্ক সংক্রান্ত কড়াকড়ি নিয়ে আসতে পারে, যা আগামী মাসে মোদির হোয়াইট হাউস সফরের সময় আরও স্পষ্ট হবে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.