ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর। দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু বিয়ে করেন অভিনেতা নাগা চৈতন্যকে। বিয়ের মাধ্যমে তিনি ‘আক্কিনেনি’ পরিবারের সদস্য হন এবং তার নাম হয়ে ওঠে সামান্থা আক্কিনেনি। তবে সামান্থা-নাগা দম্পতির রূপকথার বিয়ে বেশি দিন টেকেনি। চার বছর সংসার করার পর, তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। তাদের বিচ্ছেদের মূল কারণ ছিল— সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন।

এরপর একে অপরের সঙ্গে আর বসবাস করেননি তারা। নাগা চৈতন্য নতুন সঙ্গিনী শোভিতা ধূলিপালাকে বিয়ে করেন এবং সংসার শুরু করেন।

অন্যদিকে, সামান্থা তার মনের দরজায় খিল দিয়ে রেখেছেন। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি বর্তমানে কাজ এবং আত্মপ্রেমে ডুবে রয়েছেন। নাগা-শোভিতার বিয়ের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হওয়ার পর, সামান্থা তার এবং নাগার বিয়ের সব ছবি মুছে ফেলেছিলেন। তবে কিছু ছবি তিনি মুছতে পারেননি।

নাগা-শোভিতার সুখী গৃহস্থালির ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার পর, কিছু নেটিজেন মন্তব্য করেছেন যে, হয়তো সামান্থা সাবেক স্বামীর সুখ দেখে হিংসা অনুভব করছেন।

তবে অতীতে, বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নাগার সামনে সামান্থা বলেছিলেন, "তুমি জানো, আমি তোমাকে বেশি ভালোবাসি।" কিন্তু গত তিন বছরে, অনেকটাই বদলে গেছেন অভিনেত্রী। তিনি মানসিকভাবে আরও দৃঢ় হয়েছেন এবং বর্তমানে তার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক শক্তিশালী। তিনি অনেক সময় বলেছেন যে, বিচ্ছেদ তার ইচ্ছায় হয়নি, তাকে শুধুই তা মেনে নিতে হয়েছে।

বিচ্ছেদের পর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং মায়োসাইটিস নামক রোগে আক্রান্ত হন। এখনো তার চিকিৎসা চলছে, তবে আগের তুলনায় তিনি অনেক ভালো আছেন।

অভিনেত্রী বলেন, "আমি আমার জীবনে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গেছি। আমি হিংসা নামক অনুভূতিটা বুঝি না। আমি আমার মনকে এসবের থেকে দূরে রেখেছি। জীবনে সব পরিস্থিতি উনিশ-বিশ হতে পারে, তবে হিংসার কোনো জায়গা নেই।"