ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ২৪ জানুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহার সফর করেন, যেখানে তিনি হামাসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে গাজা পুনর্গঠন, যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলের মানবিক সহায়তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে হামাসের শুরা উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ দারওইশ এবং প্রধান আলোচক খালিল আল-হাইয়া উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনার বিষয়বস্তু

1. যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা
2. চলমান বন্দি বিনিময়
3. ইসরাইলের সমালোচনা - গাজায় মানবিক সহায়তা এবং পুনর্নির্মাণ প্রচেষ্টা নিয়ে।

দারওইশ বলেছেন, আল-আকসা স্টর্ম অপারেশন ফিলিস্তিনির সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা ইসরাইলের ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেছে।

আরাগচি ইরান থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি অটুট সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি গাজার বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধ এবং ইসরাইলের সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের বিরুদ্ধে বিজয় প্রশংসা করেছেন। ইরান গাজার সাহসী অপারেশনগুলোকে সমর্থন করেছে, যা যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের পথ সুগম করেছে।

আরাগচি কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানির সঙ্গে গাজা, সিরিয়া এবং ফিলিস্তিনিদের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং স্থিতিশীলতার প্রতি সমর্থন প্রদর্শন করেন।

আরাগচি কাতারের ভূমিকা প্রশংসা করেছেন, বিশেষ করে গাজা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে দোহারের প্রচেষ্টার জন্য।

শেখ মোহাম্মদ আল থানি কাতারের পক্ষ থেকে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় ইরানের ভূমিকা স্বীকার করেছেন।