কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের পণ্যের ওপর নতুন করে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন, যা আজ (শনিবার) থেকে কার্যকর হচ্ছে। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবশেষে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "কানাডা যুক্তিসঙ্গত প্রতিশোধ নেবে।" তবে কী ধরনের প্রতিশোধ নেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানাননি।
শুল্ক আরোপের ফলে কানাডার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন ট্রুডো। তিনি বলেন,
"সামনের দিনগুলোতে আমাদের অর্থনীতি কঠিন সময় পার করবে। আমি জানি, কানাডিয়ানরা চিন্তিত। তবে আমি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, ফেডারেল সরকার তাদের পাশে রয়েছে।"
কানাডার অর্থনীতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াশিংটনের মোট অপরিশোধিত তেলের ৫৫ শতাংশই আসে কানাডা থেকে। ফলে এই শুল্ক যুদ্ধ দুদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনটি কারণ দেখিয়ে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন—
তিনি বলেন, "আমরা যেমনটা চাই, তেমনটা হচ্ছে না। এই বাণিজ্য বিরোধ ও কূটনৈতিক জটিলতা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে ট্রাম্প যদি তার অবস্থানে অনড় থাকেন, তাহলে আমরাও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।"
ট্রাম্প প্রশাসনের অতিরিক্ত শুল্কের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার প্রধান মিত্রদের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতদিন মূলত চীনের সঙ্গেই বাণিজ্য যুদ্ধ চলছিল, কিন্তু এবার কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গেও উত্তেজনা বাড়তে পারে।
কানাডার ৭৫ শতাংশ রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রে যায়, তাই ওয়াশিংটন তাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। তবে নতুন শুল্কের ফলে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে কানাডা ও মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল গ্রহণ করতে পারে, যা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.