হেমন্তের শুরু থেকেই পঞ্চগড়ে সন্ধ্যার পর থেকেই হালকা শীত অনুভূত হচ্ছিল। এর মধ্যে কুয়াশার পরিমাণ কম থাকায় দিনের বেলা ঝলমলে রোদের দেখা মিলত। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে রাত থেকে বাড়তে শুরু করে কুয়াশার দাপট। এতে রাতভর কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে ও চারদিকে ঘনকুয়াশা দেখা যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ১ডিগ্রী সেলসিয়ায় এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১০০%।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশার সাদা চাঁদরে ঢাকা চারদিক। শুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছেন লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই রোদের তীব্রতা।
দিনমজুর ময়নুল ইসলাম বলেন, আমি বাঁশের কাজ করি। বাঁশ দিয়ে বেড়া বানাই। সকালবেলা যখন কাজ করি তখন হাত পাথরের মত ঠান্ডা হয়ে যায়। কাজ করতে কষ্ট হয় রোদ উঠলে আবার কাজ করতে পারি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, তেঁতুলিয়ায় আজ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ধীরে ধীরে হালকা রোদ উঠেলে আকাশের উপরিভাবে ঘন কুয়াশা থাকায় রোদের তীব্রতা ছড়াতে পারছে না। এতে দিনভর হালকা শীত অনুভূত হবে। চলতি মাসের মাঝামাঝি এই এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.