
উত্তরের সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল হাওয়া, আর ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢেকে যায়। কুয়াশার ঘনত্ব এমনই যে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, সোমবার (০১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেখা গেছে, ফসলি জমি, ঘাসের ডগা এবং খোলা মাঠে জমে আছে শিশিরবিন্দু। দিনের রোদ সামান্য উষ্ণতা দিলেও সন্ধ্যার পর আবার নেমে আসে কনকনে ঠাণ্ডা। মধ্যরাতের পর হিমেল হাওয়ার তীব্রতা আরও বাড়ে।
শীতের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও খেটে খাওয়া মানুষ।
ধরলার পাড় এলাকার রিকশাচালক আব্দুল বাতেন (৫০) বলেন, সকালে রিকশা নিয়ে বের হলে হাত-পা জমে আসে। কিন্তু রিকশা চালাতে হবে এজন্য বাড়ি বের হয়ে আসছি।
ভ্যানচালক কয়ছার আলী। (৪০) জানান, সকালে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি, এখনো কোনো ভাড়া পাইনি। শীত এভাবে বাড়তে থাকলে বের হওয়াই মুশকিল হয়ে যাবে।
হলোখানার কৃষক শামছুল হক জানান, শীতকালে আলু টমেটো শশাসহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করা হয়। কিন্ত সকালে শীতের কারণে কাজে বের হতে পারি না
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রামে সামনে আরও শীত ও কুয়াশা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিদিনই কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ছে। সামনে শীত ও কুয়াশা আরও বৃদ্ধি পাবে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.