১৫ মাস ধরে চলা ইসরাইলি ধ্বংসযজ্ঞের পর ফিলিস্তিনের উত্তর গাজায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ফিরেছেন তিন লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। গাজার জনসংযোগ দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় আশ্রয় নেওয়া এই বাসিন্দারা যুদ্ধবিরতির সুযোগে ফিরে আসছেন।
গাজা সিটির বদলে যাওয়া চিত্র:
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা ইসরাইলি হামলায় উত্তর গাজায় কোনো বাড়িঘর অক্ষত নেই। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকাতেই ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে ঘরবাড়ি হারানোর শোক সত্ত্বেও নিজেদের প্রিয় এলাকায় ফিরে তারা স্বস্তি পাচ্ছেন।
সোমবার সকাল থেকেই নেৎজারিম করিডোর দিয়ে উত্তর গাজায় ফিরে আসছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। অনেকেই ঘোড়া কিংবা গাধার গাড়িতে তাদের সামান্য জিনিসপত্র নিয়ে আসেন। শহরের প্রধান সড়কে টাঙানো ‘গাজায় স্বাগতম’ লেখা একটি ব্যানার যেন তাদের এই যাত্রাকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।
২২ বছরের লামিস আল ইওয়াদি নামের এক তরুণী জানান, এতদিন তিনি নিজেকে মৃত মনে করতেন। তার ভাষায়, ‘আজকের দিনটি আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন। মনে হচ্ছে, আমার দেহে ফের জীবন ফিরে এসেছে।’
হামাসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় ফিরে আসা ফিলিস্তিনিদের জন্য অন্তত ১ লাখ ৩৫ হাজার তাঁবুর প্রয়োজন। যেহেতু পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, তাই তারা আপাতত এই তাঁবুতে থাকার চেষ্টা করবেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ইসরাইলি ভূখণ্ডে ১২০০ মানুষ নিহত হন এবং ২৫০ জনেরও বেশি জিম্মি হন। এই ঘটনার জেরে ইসরাইলি বাহিনী গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। ১৫ মাস ধরে চলা এই অভিযানে ৪৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং আহত হন আরও ১ লাখ ১২ হাজারের বেশি।
অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি ও বন্দিময় চুক্তি কার্যকর হয়। এর ফলেই ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন উত্তর গাজার বাসিন্দারা।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.