
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে শুরু হয়েছে আধুনিক যন্ত্র রিপারের মাধ্যমে ধান কাটার উৎসব। বাড়ছে এই কৃষিযন্ত্রের ব্যবহারও। উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের নেওয়াশী বেøাকে দেখা গেছে কৃষকরা কৃষি আধুনিকীকরণের এই যন্ত্র দিয়ে ধান রোপন করছেন। কৃষকরা জানান তারা এ বছর ব্র্যাক ওয়ান ও আগাম ১০৩ জাতের ধান চাষ করে আগাম ঘরে তুলতে পারছেন। আর এই চাষাবাদে তারা বীজতলা তৈরী, চারা রোপন ও ধান কাটাসহ সবকিছু আধুনিক কৃষিযন্ত্রের মাধ্যমে চাষাবাদ করছেন। এতে করে তাদের শ্রমিকের মজুরি বাঁচার পাশাপাশি কমেছে শ্রম ও অর্থ ব্যয়। এছাড়াও আগাম জাতের ধান চাষ করায় তাদের ঘরে নতুন ধান এসে নবান্নের উৎসবও পালন করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের নেওয়াশী বেøাকের সাতকুড়া গ্রামে আগাম ১০৩ জাতের এই ধানের নমুনা কর্তনের উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফিরোজ হোসেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সৈয়দা আশরাফি আক্তারসহ ানেকে।
কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি ৩ একর জমিতে এই ধানের চাষ করেছেন,এ ছাড়াও আয়নাল হক চাষ করেছেন এক একর, মতিয়ার রহমান মতিয়ার রহমান ২ একর এবং আবু সাইদ এক একর। তারা জানান আগাম জাতের এই ধান ট্রের মাধ্যমে বীজতলা তৈরি করে পরে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে জমিতে চারা রোপন করেন।
পরে পরিপূর্ণ ধান হয়ে পেকে গেলে তারা ধানকাটার যন্ত্র রিপারের মাধ্যমে ধান কেটে নিচ্ছেন। এতে করে তাদের মজুরি খরচ কমার পাশাপাশি সময় সাশ্রয় হয়ে তারা লাভবান হচ্ছেন। এছাড়াও আগাম জাতের ১০৩ জাতের ধান চাষের ফলে এক ফসলী জমিতে ৩ ফসল চাষ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়েছে তাদের। তারা জানান এই ধান কেটে নেয়ার পর তারা ওই জমিতে সরিষা চাষ করবেন। এতে করে একদিকে যেমন বাড়িত ফসল পেয়ে লাভবান হবেন অপরদিকে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে। যা পরবর্তী ফসল চাষে জৈব সারের চাহিদা পূরণ হবে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষিকে আধুনিকীকরণের আওতায় আনতে আমরা সব সময় কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি। যাতে তারা কম সময় ও কম খরচে অধিক লাভবান হতে পারে এবং দেশের কৃষি সমৃদ্ধ হয়।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.