নেতিবাচক ফুটবলের জন্য বেশ পরিচিতি আছে আতলেতিকো মাদ্রিদের, কোচ দিয়েগো সিমিওনের অধীনে বহু দিন ধরেই এই ঘরানার ফুটবল খেলে যাচ্ছে দলটা। এতটাই যে, অনানুষ্ঠানিকভাবে ফুটবল ভক্তদের মুখে মুখে এই ঘরানার নাম পড়ে গেছে ‘হারামবল’।
এদিকে শেষ কিছু দিনে আর্সেনালও একই পথে হাঁটছিল। বিশেষ করে গোলের জন্য সেটপিসে অতিরিক্ত নির্ভরতা দলটাকে বাড়তি পরিচিতি পাইয়ে দিয়েছে এই ঘরানায়। সেই দুই দল যখন মুখোমুখি, তখন তার নামই পড়ে গিয়েছিল ‘হারামবল ক্লাসিকো’ বা ‘হারামবল ডার্বি’। শেষমেশ সেই ক্লাসিকোয় জিতেছে আর্সেনাল। ১৪ মিনিটের এদিক ওদিকে ৪ গোল করে ৪-০ ব্যবধানের বিশাল জয় পেয়েছে দলটা।
শুরুর ৫৭ মিনিট কিন্তু স্ক্রিপ্ট মেনেই এগিয়েছে। দুই দলই যেন গোল করতে ভুলে গিয়েছিল। খেলছিলও চিরচেনা ফুটবল। তবে ৫৭তম মিনিটে গিয়ে ধারাটা ভাঙে আর্সেনাল। সে গোলটা পেতে প্রয়োজন পড়েছিল সেই সেট পিসেরই। ডেক্লান রাইসের ফ্রি কিকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন গ্যাব্রিয়েল মাগালায়েস। ওই গোলের পরই শুরু হয় আর্সেনালের দারুণ দাপট।
তারপর মাইলস লুইস-স্কেলির দারুণ দৌড় আর পাস থেকে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি বাঁকানো শটে করেন দ্বিতীয় গোল। এরপর গোল খরায় থাকা ভিক্টর ইয়োকেরেশ জটলার ভেতর থেকে বল জালে পাঠান, তাতে শেষ হয় তার সাত ম্যাচের গোলখরা। তিন মিনিট পরই কর্নার থেকে গ্যাব্রিয়েলের পাসে আবারও গোল করেন এই সুইডিশ ফরোয়ার্ড।
সেটপিসে আর্সেনালের দক্ষতা এখন ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে প্রতিপক্ষকে। লিভারপুলের কোচ আরনে স্লট আর ফুলহামের কোচ মার্কো সিলভা সম্প্রতি স্বীকার করেছেন, এই জায়গায় আর্সেনাল এখন ইউরোপের সেরা দলগুলোর মধ্যে।
ডেকলান রাইস আর বুকায়ো সাকা দুই দিক থেকেই দারুণ বল তুলে দিয়েছেন ফরোয়ার্ডদের পাতে। ২০২৩ সালের আগস্টে রাইসের অভিষেকের পর থেকে ইউরোপের পাঁচটি বড় লিগে ডেড বল থেকে তার চেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট আছে শুধু ইন্টার মিলানের হাকান চালহানওলুর (১১টি)। রাইসের সংখ্যা ১০।
গত মাসে প্রিমিয়ার লিগে নিউক্যাসলের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচেও সেটপিস থেকে গোল করেছিলেন গ্যাব্রিয়েল। আতলেতিকোর বিপক্ষেও তিনিই আর্সেনালের গোল সূচনা করেন।
এই মৌসুমে পেনাল্টি বাদে সেটপিস থেকে আর্সেনালের গোল এখন ১০টি। ট্রফির দৌড়ে টিকে থাকতে এই অস্ত্রই এখন আর্তেতার সবচেয়ে বড় ভরসা।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.