ভারতের সংগীত দুনিয়ায় আলোড়ন তুলেছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গের রহস্যময় মৃত্যু। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার আসাম পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার গায়কের ঘনিষ্ঠ দুই সঙ্গী। তারা হলেন ব্যান্ড সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী ও সহশিল্পী অমৃতপ্রভা মহন্ত। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত মাসের ১৯ সেপ্টেম্বর নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল চলাকালে জুবিন গার্গ একটি পার্টিতে অংশ নেন। সেখানেই স্কুবা ডাইভিংয়ের পর তাকে পানিতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন গোস্বামী ও অমৃতপ্রভা। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জুবিনের খুব কাছে সাঁতার কাটছিলেন গোস্বামী, আর সেই দৃশ্য ভিডিও করছিলেন অমৃতপ্রভা। ছয় দিন ধরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর আগে গত ১ অক্টোবর গায়কের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং উৎসবের ম্যানেজার শ্যামকানুকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও হত্যা, অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড, ষড়যন্ত্র ও অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আসামপুত্র খ্যাত জুবিন ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর মেঘালয়ের তুরার বোরঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মোহিনী বোরঠাকুর ছিলেন একজন গীতিকার এবং তার মা ইলি বোরঠাকুর ছিলেন একজন নৃত্যশিল্পী এবং গায়িকা।
১৯৯২ সালে জুবিন গর্গ সংগীতকে ধ্যানজ্ঞান করে এতেই ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। একই বছর তার প্রথম অ্যালবাম ‘অনামিকা’ লঞ্চ হয়, যা তাকে উত্তরপূর্বে জনপ্রিয় করে তোলে। তবে, বলিউড সিনেমা ‘গ্যাংস্টার’ (২০০৬)-এর ‘ইয়া আলি’ গানটিই তাকে ভারতজুড়ে পরিচিতি এনে দেয়। উজ্জ্বল ক্যারিয়ারে জুবিন ৪০টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়েছিলেন এবং প্রায় ৩২ হাজার গান রেকর্ড করেছিলেন।
তিনি ‘মন জয়’ এবং ‘মিশন চায়না’-এর মতো অসমীয়া ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন। ২০০৯ সালে, তিনি ‘কিসমত’ ছবির ‘দিলরুবা’ গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি কেবল একজন গায়কই ছিলেন না, একজন সুরকার, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার হিসেবেও ভালো পরিচিত ছিলেন।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.