আফগানিস্তানের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। পারভেজ ইমন আর তানজিদ তামিমের দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটিতে একসময় জয়টা নাগালে মনে হলেও ৯ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সহজ ম্যাচ কঠিন করেই জিতল টিম টাইগার্স। ৪ উইকেটের জয়ে সিরিজে শুভসূচনা পেয়েছে জাকের আলিরা।
সদ্য এশিয়া কাপেও আফগানদের হারিয়েছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে টাইগাররা। সবশেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের নিশ্চিত জয় প্রায় ছিনিয়ে নিচ্ছিলেন রশিদ খান। একাই ৪ উইকেট শিকার করে টাইগার টপ-অর্ডারে ধস নামান আফগান অধিনায়ক। পরে ম্যাচ শেষে নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে আক্ষেপের কথাই শোনালেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ১৭০-১৮০ রান হতে পারতো। পুরো এশিয়া কাপ জুড়ে শট সিলেকশন আমাদের ভুগিয়েছে। এটা আসলে স্কিলের ব্যাপার না, এটা পুরোপুরি গেইম অ্যাওয়ারনেসের ব্যাপার। পুরো এশিয়া কাপে আমরা উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছি, এমনকি এখানেও। আশা করি আমরা শিখব এবং ভালো করতে থাকব। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকাপ। ব্যাটারদের উচিত নিজেদের স্বাভাবিক খেলায় মনোযোগ দেওয়া—সময় নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু চাপের মুখে শট বাছাইয়ের ভুলটা হয়ে যায়।’
বোলিং নিয়ে রশিদ বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রথম ৬-১০ ওভারে আমরা ভালো বোলিং করিনি। যত বেশি স্টাম্পে বল করা যায়, তত ভালো, কারণ ,বাইরে বল করলেই রান নেয়া সহজ হয়ে যায়। আমি মনে করি, আমরা যখনই নিয়মিতভাবে স্টাম্পে বল করতে শুরু করেছি এবং ব্যাটসম্যানদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছি, তখনই ম্যাচে ফিরতে পেরেছি।’
আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে শুরু করেছিল—শেষ ৮ ওভারে ৫০ রান প্রয়োজন ছিল, সেখান থেকে ফেরার জন্য সবার খুব ভালো প্রচেষ্টা ছিল। আমার এখনো মনে হয় আমরা আরও ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যখন আপনার কাছে মোমেন্টাম থাকবে তখন সেটা হারাতে পারবেন না।’
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.