গত কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি সমতলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি বিপদসংকেত ছুঁয়েছে।
শনিবার (১৪ আগস্ট) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, ভুরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার নদী তীরবর্তী ১৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। নাগেশ্বরী উপজেলার চর দামাল গ্রাম, ফান্দের চর, চর নুচনি, পাশাপাশি ভুরুঙ্গামারীর বিভিন্ন গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।
বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে রোপা আমন, বীজতলা, পাট ও অন্যান্য মৌসুমী ফসল। পাশাপাশি গ্রামের কাঁচা সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে।
চর নুচনির কৃষক সামাদ আলী বলেন, "গত দুইদিনের পানি বৃদ্ধির কারণে আমাদের এলাকার রাস্তা তলিয়ে গেছে। অনেক আমন ফসলও পানিতে তলিয়ে গেছে। যদি পানি আরও বৃদ্ধি পায়, আমরা বড় সমস্যার মুখোমুখি হব।"
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভুরুঙ্গামারী পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী, নুনখাওয়া, হাতিয়া ও সেতু পয়েন্ট এবং ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে তা বিপদসীমার নিচে আছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিব্বির আহমেদ জানান, "দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। তবে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।"
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক মো: রাকিবুল হাসান বলেন, "নদী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ চলছে। আমরা অব্যাহত সতর্কতা অবলম্বন করছি যাতে মানুষের ক্ষতি এড়ানো যায়।"
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.