আট থেকে আশি—দুই বাংলা জয়ার প্রেমে বানভাসি। কিন্তু একটা সময় নিজেই প্রেমে ভেসেছেন তিনি। করেছিলেন বিয়ে। স্বামীর নাম ছিল ফয়সাল আহসান। সেই সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। সাংসারিক নানা জটিলতার কারণে ২০১১ সালে বিচ্ছেদ হয় তাদের।
এরপর দ্বিতীবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হননি জয়। প্রায় এক যুগ ধরেই একা জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু ‘কবুল’ বলেননি।
অনুরাগীদের প্রশ্ন—জয়া কি তাহলে বাকি জীবনটা একাই কাটিয়ে দেবেন? এতদিন বিষয়টি নিয়ে রাখঢাক রাখলেও এবার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন। জানালেন, সম্পর্কে আছেন তিনি। অনেক দিন ধরে আছেন একসঙ্গে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য দেন জয়া।
অনেক দিন ধরে কি কারও সঙ্গে সম্পর্কে আছেন? এরকম প্রশ্নের জবাবে জয়ার বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার জীবনেও কেউ আছে। মানুষ তো একা থাকতে পারে না। তবে তিনি শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির কেউ নন।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে আছি, বহু বছর...। যেকোনো সম্পর্কে পার্টনার হওয়ার আগে ভালো বন্ধু যেন হয়ে উঠতে পারি, বন্ধু হয়ে যেন থাকতে পারি, সেটা একটা বড় বিষয়; সেটা আমরা অবশ্যই। সে আমার অনেক অত্যাচার সহ্য করে। আমি একজন অভিনয়শিল্পী। এই যে আমি এত ট্রাভেল করি, এখানে (কলকাতা) এসে পড়ে আছি, কাজ করছি; এগুলো কিছু মনে করে না। আমাকে কাজ করতে দিচ্ছে। এগুলো একটা বিষয় কারণ সবার তো একসঙ্গে থাকার প্রয়োজন আছে। সে সুযোগ আমাদের হয়ে উঠছে না। আমি খুব প্রাইভেট পারসন, তিনিও তেমনই খুব প্রাইভেট। আমরা নিজেদের মতো করে থাকার চেষ্টা করি।’
বিশেষ মানুষকে বিয়ে করবেন কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে জয়া বলেন, ‘এটা আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না। আমার সেটা (বিয়ে) করতে যে খুব তাড়াতাড়ি ইচ্ছা হবে বা আদৌ হবে কি না, আমি জানি না। তবে হ্যাঁ বিয়ে করে একসঙ্গে থাকা—এই ধারণাকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিইনি (বিয়ে নিয়ে)।’
টলিউডে মুক্তি পেয়েছে জয়ার জোড়া ছবি ‘ডিয়ার মা’ ও ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। সিনেমা দুটির প্রচারণায় ঘাম ঝড়াচ্ছেন তিনি।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.