রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ উদ্বোধনের নির্ধারিত তারিখ ছিল ৫ আগস্ট। তবে নির্ধারিত সময়ে নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় নির্ধারিত তারিখে জাদুঘরটি উদ্বোধন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জাদুঘরের কিউরেটর তানজিব ওয়াহাব জানিয়েছেন, “৫ আগস্ট উদ্বোধনের পরিকল্পনা থাকলেও নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।” বর্তমানে নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
একজন নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ে সিভিল ও ইএম (ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল) কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি, যদিও অর্থ ছাড় ঠিকমতো করা হয়েছে। ফলে নির্ধারিত তারিখে জাদুঘর উদ্বোধন সম্ভব নয়।
জানা গেছে, তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ১৭ দশমিক ৬৮ একর জমিতে এই জাদুঘর নির্মিত হচ্ছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জমিটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে। বিনা মূল্যে বরাদ্দকৃত এই জমির জন্য বছরে ৩ হাজার টাকা খাজনা দিতে হবে।
জাদুঘর নির্মাণে দ্রুত অগ্রগতি আনতে দরপত্র ছাড়াই সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে কাজ দেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৫ জুলাই। মোট ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ১১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ইএম খাতে ৪০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় করবে শুভ্রা ট্রেডার্স এবং সিভিল কাজের জন্য ৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নিয়োজিত হয়েছে দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।
জাদুঘর নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর, তবে চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন পেতে বিলম্ব হওয়ায় কাজ শুরু হতে দেরি হয়। অবশেষে ৮ জুলাই নকশা অনুমোদনের পর সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে কাজ শুরু হয়।
জাদুঘরের ইএম প্রকৌশলী ড. মো. আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, “সিভিলের সঙ্গে সমানতালে ইএম কাজও চলছে। এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক।”
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব কাজ সম্পন্ন করে জাদুঘরটি উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রকাশক: মোঃ শরিফুল ইসলাম। যোগাযোগ: মেডিকেল পূর্ব গেট, বুড়িরহাট রোড, রংপুর, বাংলাদেশ।
Copyright © 2025 RCTV ONLINE. All rights reserved.